শিশুর উন্নতির জন্য বাবা-মায়ের নিবিড় স্নেহ অপরিহার্য
শিশুর মানসিক উন্নতির জন্য বাবা-মা বা বড়দের স্নেহ অপরিহার্য। এ বিষয়টি অনেক আগে থেকে জানা থাকলেও তার গুরুত্ব সম্প্রতি নতুন করে তুলে ধরেছেন গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটরডেমের গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে শিশুর জন্য বাবা-মা বা অভিভাবকের স্নেহের আবশ্যকতা নতুন করে তুলে ধরেছেন। এতে তারা জানিয়েছেন, পিতামাতার স্নেহ ও সমর্থন শিশুকে বড় হয়ে উঠতে সহায়তা করে।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব নটরডেমের গবেষক ও সাইকোলজির প্রফেসর ডারসিয়া নার্ভায়েজ জানান, আমাদের শিশুবয়সের অভিজ্ঞতা সর্বশেষ চাহিদা অনুযায়ী হওয়া প্রয়োজন। তিনি জানান, আমাদের পূর্বপুরুষেরা যেমন সন্তানের যত্ন নিতেন এখন তেমনটা দেখা যায় না।
গবেষকরা এক্ষেত্রে শিশু লালনপালনের ছয়টি ভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেন। এতে ছয় শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর অনুসন্ধান চালান গবেষকরা। এতে উঠে এসেছে শিশুর উন্নতির পেছনে পিতামাতার ভূমিকা। বিশেষ করে শিশুর নিবিড় পরিচর্যা, শিশুর কাঁদার বা অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেতে সাড়া দেওয়া, স্পর্শ, মাতৃদুগ্ধ প্রদান, শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা ও মানসিকভাবে কাছাকাছি থাকার বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়।
গবেষকরা জানান, তারা এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের শিশু বয়সের অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করেন। এরপর তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে দেখা যায়, যারা ছোটবেলায় পিতামাতার বেশি যত্ন পাননি, তারা বড় হয়ে বেশিমাত্রায় বিষণ্ণতা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। এছাড়া ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো কিছু দেখতেও তাদের সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে প্রফেসর ডারসিয়া নার্ভায়েজ বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যদি শিশুকে প্রয়োজন অনুযায়ী সবকিছু সরবরাহ না করি তাহলে বড় হয়ে তাদের সামাজিক ও মানসিক সমস্যায় পড়তে দেখা যায়।’
প্রফেসর নার্ভায়েজ আরও জানান, শিশুরা যদি বিষাক্ত সময় অতিবাহিত করে তাহলে তা তাদের বেড়ে ওঠতে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং বড় হয়ে তারা মানসিক চাপে থাকে। এতে তারা নানা সমস্যায় নিপতিত হয়।
Post a Comment