Header Ads

LightBlog

'শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বেগম জিয়ার নীলনকশার অংশ'

 আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার নীলনকশা হিসেবে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ নারীর সম্ভ্রম হানির বিষয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে কোন বিতর্ক নেই। কোন মহলকে খুশি করার জন্য তিনি এ প্রশ্ন তুলেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় দেশের তার রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।
ড. হাছান মাহমুদ আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু প্রজম্ম লীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র নাহিম রাজ্জাক এমপি, বিশিষ্ট সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, তাই খালেদা জিয়ার কাছে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল না হয়ে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের দল হয়েছে। কেননা জামায়াত পাকিস্তান রক্ষা করার জন্য অস্ত্র ধারণ করেছিল। আর তিনিও (খালেদা জিয়া) মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানের আতিথিয়েতায় আদর যত্নেই ছিলেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র না করার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানান।
এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যে সময় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর পায়তারা করছে এবং সে সময় আব্দুর রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকলে দেশের জন্য বড় উপকার হতো।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে সময় জামায়াত নেতা গোলাম আজমের নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন সে সময় আব্দুর রাজ্জাক শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। আর রাজ্জাক ভাই জীবিত থাকলে এ বিচার দেখে তিনি শান্তি পেতেন।
তিনি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার জন্য ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের নারী কূটনৈতিককে অবাঞ্চিত (পারসোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান।

No comments